সন্তান না হওয়া মানেই আপনি বন্ধ্যা নন। অনেকেই সময়, চিকিৎসা ও জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে সফলভাবে সন্তান লাভ করেন। তাই দেরি না করে সঠিক পদক্ষেপ নিন।
শতকরা অনেক দম্পতি আজকাল সন্তান ধারণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সমস্যার পেছনে থাকতে পারে শারীরিক, মানসিক বা হরমোনজনিত বিভিন্ন কারণ।
অনেক নারীরই মাসিক নিয়মিত না হওয়ার কারণে ডিম্বাণু তৈরি হয় না, ফলে গর্ভধারণ হয় না।
এই সমস্যা হলে ডিম্বাণু স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারে না। এটি গর্ভধারণে বড় বাধা।
ডিম্বাণু ও শুক্রাণু মিলিত হওয়ার পথে বাঁধা তৈরি হয়।
যেমন – শুক্রাণুর সংখ্যা কম, গতি কম বা আকারে অস্বাভাবিক হলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়।
নিয়মহীন ঘুম, অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
ওজন হরমোনকে প্রভাবিত করে। ফলে ডিম্বাণু তৈরি ব্যাহত হয়।
বয়স বাড়লে নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
উভয়েরই (পুরুষ ও নারী) প্রয়োজনীয় টেস্ট করিয়ে নিন — যেমনঃ হরমোন টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড, সিমেন অ্যানালাইসিস ইত্যাদি।
ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সুস্থ রাখতে ভিটামিন সি, ই, ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান।
ডায়েট, ওয়ার্কআউট ও ওষুধে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি গর্ভধারণে সহায়ক।
BMI ১৮.৫ – ২৪.৯ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
মাসিক চক্র অনুযায়ী ডিম্বাণু নির্গমনের সময় (Ovulation Period) চিনে নিয়ে সহবাস করুন।
অনেক সময় অশ্বগন্ধা, শতাবরি, মাশরুম, মধু, কালোজিরা, এবং তুলসী পাতার মতো প্রাকৃতিক উপাদান গর্ভধারণে সহায়তা করে।
যারা দীর্ঘদিন ধরে কনসিভের চেষ্টা করছেন কিন্তু ফল পাচ্ছেন না, তাদের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কিছু বিশেষ ফর্মুলা সহায়তা করতে পারে।
Liconil (Qurs Sailan) ওEcomen (Remidy For Leucorrhoea) - একসাথে ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ সহজ হয়।
আপনি মা হতে পারবেন – শুধু সময়ের অপেক্ষা। আপনি চেষ্টা করছেন, ধৈর্য ধরছেন — এটাই আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে, কারণ আপনি একজন সত্যিকারের যোদ্ধা।""দয়া করে নিজেকে দোষ দেবেন না। আপনি কিছু হারাননি, আপনি কেবল অপেক্ষা করছেন আপনার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর উপহারের জন্য।"
"অনেকেই মা হন খুব সহজে, কিন্তু কিছু মায়েদের জন্য আল্লাহ একটু বেশি সুন্দর সময় রেখে দেন। সেই সময় এলে, আপনি বুঝবেন এই অপেক্ষার মূল্য কতটা বেশি।"
"আপনার গর্ভের নয়, ভালোবাসার শক্তিই একদিন কাউকে ‘মা’ বলার যোগ্য করে তুলবে। আপনি শুধু সময়ের একটু ধৈর্য রাখুন — আমরা আছি আপনার পাশে।"
অনেকেই তো পারছে, আপনিও পারবেন। শুধু বিশ্বাস রাখুন, চেষ্টা করুন, বাকিটা আল্লাহর হাতে।"
"আপনি যদি রাসায়নিক ঔষধে ক্লান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এবার প্রাকৃতিকভাবে চেষ্টা করে দেখুন। হয়তো এবার আপনার জন্য সেই সুখবর অপেক্ষা করছে।"